এনামুল কবির সবুজ|স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধান নির্বাচনী কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নির্বাচন করতে চায় কমিশন। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে যশোরের কেশবপুরে পৌরনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সিইসি আরো বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আদেশের কপি আমরা হাতে না পাই। অনেক সময় টেলিভিশনে সাথে সাথে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রচার করা হয়। তখন আমরা মনে মনে প্রস্তুতি নেই, কী করতে হবে। আদেশের কপি পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন আদেশ পেতে সময় লাগবে। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ এতদিন নির্বাচনের কোন কার্যক্রম করা যায়নি। টাইম লস হয়ে গেছে। এই টাইমটা দিতে হবে প্রার্থীদের। মোটামুটি ১৪/১৫ দিন টাইম দিতে হয় প্রার্থীদের। এটা আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। তারপরও বলবো যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি আরো বলেন, দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপর মানুষ ভোট দিচ্ছে। মিডিয়াতেই বলা হয় কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভীড়, নারীরা দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে। পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলেই নারীরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়। ফলে নির্বাচন সঠিক, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর সবস্থানেই নির্বাচনে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দ্রুত প্রশমনও করে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না এসব কথা মানতে একেবারেই রাজি না আমি।’কেশবপুর পৌরনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনার এর আগে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।তবে এই বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।